Wednesday, January 25, 2012

বাংলাদেশ কি রেডিমেড গার্মেন্টসের পরবর্তী হটস্পট?

বিশ্ব এখন রেডিমেড গার্মেন্টসের জন্য একটি জনপ্রিয় হটস্পট খুঁজছে। কাঁচামাল এবং শ্রমমূল্য বৃদ্ধি এবং চীনের সামগ্রিক প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানের কারণে গত দুই দশকের পোশাক শিল্পের যে বিচ্ছুরণ তা সমাপ্ত হতে চলেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ কি প্রস্তুত, পোশাক শিল্পের পরবর্তী হটস্পট হতে? ইউরোপ ও মার্কিন প্রধান প্রধান পোশাক আমদানিকারক কোম্পানিগুলির সাথে আলোচনা করে, কনসালটেন্সি ফার্ম, মেক কিনসে এক গবেষণা পত্রে দেখিয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে তাদের আমদানি বর্তমান ২০% থেকে ৩০% এ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছে। অপর দিকে মধ্যম সারির পোশাক আমদানিকারকগণ বর্তমান ১৩% থেকে বৃদ্ধি করে ২৫% পর্যন্ত তাদের আমদানি করার পরিকল্পনা করেছে। এর ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প (আর এম জি) ৭-৯% বৃদ্ধি পেয়ে ২০২০ সালে ৩৬-৪২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে।

Tuesday, January 24, 2012

ইসরায়েল, ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র--এক অস্থির সম্পর্ক

ইসরায়েল, ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভূরাজনীতিক অস্থিরতা বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সরূপ। ৩২ বছর বয়সী মোস্তফা আহমাদি রোশন ছিল একজন পরমাণু বিজ্ঞানী। ইরানের রাজধানী তেহরানে, একজন গুপ্তঘাতক তার গাড়ীতে ম্যাগনেটিক বিস্ফোরক সংযুক্ত করে দেয়। এই ম্যাগনেটিক বিস্ফোরকটি বিস্ফোরিত হলে, আহমাদি রোশন ও তার গাড়ির ড্রাইভার, দুই জনই নিহত হন। একটা সভ্য সমাজে, একজন বিজ্ঞানী বা একজন সাধারণ মানুষেরও জীবন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের আক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকে। অসংখ্য আন্তর্জাতিক নিয়ম ও কনভেনশন আছে, যাতে বেসামরিক নাগরিকদের জীবন, সশস্ত্র সংঘাত থেকে নিরাপদ রাখে। যুদ্ধের ক্ষেত্রেও, ইচ্ছাকৃত ভাবে বেসামরিক নাগরিকদের জীবন এবং পরি-কাঠামো ও অবকাঠামো ধ্বংস করা নিষেধ। এবং এই ধরনের কাজ, অপরাধমূলক কাজ হিসাবে গণ্য হয়। বেসামরিক ব্যক্তিকে আক্রমণ সন্ত্রাসী কাজ হিসাবে গণ্য হয়। রাজনৈতিক কৌশল হিসাবে, বেসামরিক ব্যক্তিকে গুপ্তঘাতক দিয়ে হত্যা করানো, কুৎসিত ধরনের একটি সন্ত্রাস। যদিও আহমাদি রোশনের হত্যাকারীকে এখনও শনাক্ত করা যায় নাই, তবুও ইরান সরকার দ্রুতই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকেই দায়ী করেছে। ইসরায়িলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এর এজেন্ট এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে।

Monday, January 23, 2012

২০১২ সালে এক বিলিয়নতম পর্যটকের আগমন ঘটবে।

২০১২ সালে এক বিলিয়নতম পর্যটকের আগমন ঘটবে। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন এক রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, পর্যটন আগমন ২০০০ সালে ৬৭৪ মিলিয়ন থেকে ২০১০ সালে ৯৩৯ মিলিয়নে বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতিসংঘ কিছুদিন আগে বিশ্বের সাত বিলিয়নতম শিশুর জন্ম উদযাপন করেছে। এখন জাতিসংঘ আশা করছে এই বছরেই বিশ্বের এক বিলিয়নতম পর্যটকের আগমন ঘটবে সম্ভবত, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আমেরিকা, অথবা এশিয়ায়।

দুর্নীতি দমন বিতর্কে ইন্ডিয়া বিভক্ত

সমগ্র ইন্ডিয়াতে লক্ষ লক্ষ মানুষ আন্না হাজারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে, কিন্তু বর্তমানে এই আন্দোলনের গতি কি শ্লথ হয়ে আসছে? দুর্নীতির বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ ইন্ডিয়ান রাস্তায় বিক্ষোভ করার ছয় মাস পর, ইন্ডিয়ান সরকার দুর্নীতি দমনের জন্য আইন প্রণয়নের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। আন্না হাজারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার এক কণ্ঠস্বর। দুর্নীতির বিরুদ্ধ তার শক্ত অবস্থান, তাকে জাতিয় বীরের মর্যাদা দিয়েছে। বর্তমানে তিনি অসুস্থ। এবং তার এই অসুস্থতার কারণে তার দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন গতি হারিয়ে ফেলছে। শাসক শ্রেণির প্রতি ইন্ডিয়ান জনগণের হতাশা ও ক্ষোভ, দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের মধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। ইন্ডিয়ার সমাজে দুর্নীতি নতুন কোন বিষয় নয়। কিন্তু কিছু উচ্চ পদস্থ রাজনৈতিকের এবং কর্মকর্তার ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আত্মসাৎ, ইন্ডিয়ান জনগণকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। কিছু বিশ্লেষকের মতে দুর্নীতি, ইন্ডিয়ার উন্নয়নের প্রধান বাধা। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, ইন্ডিয়া একটি দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ। হংকং ভিত্তিক সংস্থা, পলিটিকাল এন্ড ইকনমিক রিস্ক কনসালটেন্সি এর গবেষণা মতে ইন্ডিয়ার আমলাতন্ত্র এশিয়ার মধ্যে সবচাইতে খারাপ।

Sunday, January 22, 2012

SOPA (Stop Online Piracy Act) স্বাধীনতা না ব্যবসা?

প্রস্তাবিত মার্কিন এন্টি-পাইরেসি এক্ট, বিশ্ব ব্যাপী আইনি বিতর্কের ঝড় তুলেছে। প্রশ্ন উঠেছে, এই আইন ইন্টারনেট ব্যাবহারের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করবে কিনা। হাজার হাজার ওয়েবসাইট, মার্কিনীদের প্রস্তাবিত এন্টি-পাইরেসি আইনটির বিরুদ্ধে অনলাইনে প্রতিবাদ করেছে। প্রস্তাবিত আইনটির সমর্থকরা বলছেন, পাইরেসি বন্ধ করতে এবং কপিরাইটের লঙ্ঘন রোধ করতে এই আইনের প্রয়োজন। অনুরূপ আরেকটি বিল যার নাম PIPA (Protect Intellectual Property Act) মার্কিন সিনেটে বিবেচনার জন্য আছে। কপিরাইটকৃত বিষয় বস্তু অবৈধ ভাবে ইন্টারনেট থেকে ডাউন-লোড করা অথবা বৌদ্ধিক সম্পত্তির অধিকারকে লঙ্ঘন করে এমন কার্যকলাপকে বন্ধ করার উদ্দেশে, আইন দুইটির প্রস্তাব করা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু এই আইন দুইটির বিরোধীদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রস্তাবিত আইন দুইটি বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই করা হচ্ছে। ৭ হাজারেরও বেশী ইন্টারনেট সাইট গত বুধবার গণ-প্রতিবাদের অংশ হিসাবে সাইটগুলিকে বন্ধ রাখায়, বিশ্ব ব্যাপী লক্ষ লক্ষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অসুবিধার সম্মুখীন হন।

Friday, January 20, 2012

নেতা-বিহীন আন্তর্জাতিক প্রশাসন

বিশ্ব অর্থনীতি এক নতুন পর্যায়ে উপনীত হয়েছে, যেখানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ক্রমেই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন বিপুল পরিমাণ ঋণ-ভার এবং নিম্নগতির অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধির চক্রে আবদ্ধ হয়ে গেছে --যার ফলে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা মোকাবেলা করতেই তারা ব্যস্ত, আন্তর্জাতিক অর্থনীতির দিকে তাকানোর সময় তাদের নাই। এই ধরনের প্রবণতার কারণে চীন এবং ইন্ডিয়া তাদের সার্বভৌমত্বকে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে এবং অন্যের হস্তক্ষেপ মুক্ত নিজেদের শাসন বাজয় রাখতে চাচ্ছে। এর ফলে দেশ দুইটি আন্তর্জাতিক রীতিনীতিকে তোয়াক্কা করছে না। এর ফলে আরেকটি প্রবণতা হল, বহুজাতিক সংস্থার গুরুত্ব কমে যাচ্ছে, যা দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর মার্কিন সরকার বেশ গুরুত্ব দিয়ে আসছিল। ফলে অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিশ্ব নেতৃত্ব এবং সহযোগিতার নিয়ম নীতি সংশোধন করতে হবে। কিন্তু G20, WTO (বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা) এবং অন্যান্য বহুজাতিক সংস্থার কার্যক্রম নতুন মাত্রায় বহাল রাখতে হবে। নতুন নিয়ম-নীতি প্রণয়ন করতে হবে।

Thursday, January 19, 2012

SOPA (Stop Online Piracy Act)

SOPA (Stop Online Piracy Act) এবং PIPA, (Protect Intellectual Property Act) এখন গুরুত্বপূর্ণ একটা আলোচ্য বিষয়। এই দুইটি আইন বাস্তবায়ন না করার দাবীতে ধর্মঘট করার পরই ব্যাপারটার গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। এবং সাধারণ মানুষ এই ব্যাপারে সচেতন হয়। গুগল ইতোমধ্যেই ৭ মিলিয়নের বেশী সাক্ষর সংগ্রহ করেছে, বিলটির বিরুদ্ধে অনলাইনে পিটিশন করার জন্য। তবে সাধারণ মানুষ এখনও এই আইনের সুফল-কুফল সম্পর্কে তেমন কিছু জানেনা। আবার অনেকের ধারণা এটা নিতান্তই আমেরিকার অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এতে অন্যদের তেমন লাভ-ক্ষতির কিছু নাই। এই আইনের বিল গত বছর ২৬ অক্টোবর মার্কিন সিনেটে উত্থাপন করা হয়। যদিও এটা একটা সাদা-সিদা আইন। আসলে এই আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে সুন্দর ভাবে পুরো ইন্টারনেট বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এই আইনটি পাশ হলে বিনামূল্যের উন্মুক্ত ইন্টারনেট সেবা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তখন ইন্টারনেটের প্রতিটা সেবা গ্রহণ করার জন্যই ফি দিতে হবে। আবার একই সাথে ওয়েবসাইটগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যে সমস্ত ডোমেইনের এক্সটেনশন .com, .org, .net., . info এই গুলি এই আইন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েবসাইট বলে বিবেচিত হবে। আর ইন্টারনেট বিশ্বে এইগুলিই প্রধান ডোমেইন এক্সটেনশন। এই আইন অনুসারে আপনি নিজের তোলা ছবি বা নিজের তৈরি করা ভিডিও বা অডিও ছাড়র আর কিছুই শেয়ার করতে পারবেন না। এতে ফ্রি ডাউন-লোডের সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। যা কিছুই ডাউন-লোড করবেন, তার জন্য ফি দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এটর্নি জেনারেল, অভিযোগের ভিত্তিতে যে কোন সাইট বন্ধ করে দিতে পারবেন।

ব্রিটেন কি ভেঙ্গে যাচ্ছে?

স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার জন্য গণভোট, যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যতের জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। ব্রিটেন একসময় ইন্ডিয়া থেকে সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত সুবিশাল সাম্রাজ্য শাসন করতো। আর এখন তার নিজের সীমানাই হুমকির সম্মুখীন। গত মে মাসের নির্বাচনে, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি নির্বাচিত হওয়ার পর, তারা ২০১৪ সালে স্বাধীনতার জন্য গণভোটের আয়োজন করার কথা ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাজ্য থেকে স্কটল্যান্ড বিচ্ছিন্ন হবে কিনা এবং স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে কিনা—এই ব্যাপারে গণভোট নেয়া হবে। এটা সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত, যা স্কটিশরা ভোটের মাধ্যমে গ্রহণ করবে।

গুয়ান্তানামো

দশ বছর আগে, মোয়াজ্জেম বেগ নামে এক ব্যক্তি, তার বাসা থেকে পাকিস্তানি ও মার্কিন গোয়েন্দা এজেন্ট দ্বারা অপহৃত হয়। তার পর তাকে গুয়ানতানামোতে নিয়ে আটক করা হয়। মোয়াজ্জেম বেগকে গুয়ান্তানামোতে আটকের পর, প্রথম কথাই হল, তুমি এখন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পত্তি এবং তোমার কোন অধিকার বলে কিছু নাই। এই ভাবে অধিকার কেরে নিয়ে অন্যান্য বন্দিদের সাথে তাকে দশ বছর গুয়ান্তনামোর কারান্তরালে রেখে দেয়া হয়। ৩১ জানুয়ারি, ২০০২ এ যখন পাকিস্তানি ও মার্কিন গোয়েন্দা এজেন্ট মোয়াজ্জেম বেগের ইসলামাবাদের বাসা থেকে মধ্যরাতে, পরিবারের সদস্যদের সামনে থেকে আটক করে নিয়ে যায়, তখনই সে উদ্ধারের আশা ছেড়ে দেয়। অস্ত্রের মুখে তাকে আটক করে, বিভিন্ন সামরিক কারাগারে রাখা হয়, এর মধ্যে, বাগ্রাম, কান্দাহার এবং সর্বশেষে গুয়ান্তনামো ব্যয়তে তাকে আটক রাখা হয়। প্রথম তিন বছর মোয়াজ্জেমকে কঠিন অগ্নিপরীক্ষার ভিতর দিয়ে যেতে হয়। এই সময় তাকে শারীরিক ভাবে ভীষণ অত্যাচার করা হয়, যেমন যখন তখন মুখে ঘুষি মারা, লাথি মারা, জোর করে উলঙ্গ করা, জোর করে দাড়ি কামাতে বাধ্য করা ইত্যাদি। বাড়ির টয়লেটের চাইতেও ছোট একটা রুমে তাকে থাকতে দেয়া হয়। এর মধ্যই ৩০০ বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কখনো কখনো হাত মোচরে পিছনের দিকে বেধে রাখা হতো। আবার কখনো কখনো হাতের সাথে পা বেধে ঝুলিয়ে রাখা হতো। কখনো কখনো তার সামনে পবিত্র কোরআন শরিফকে অবমাননা করা হতো। আবার কখনো ভয় দেখানের জন্য অত্যাচারের ভিডিও চিত্রও দেখানো হতো। একদিন তার সামনেই দুই জন লোককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মোয়াজ্জেম বেগকে বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর মধ্যে, সিআইএ, এফবিআই, এমআই ফাইব, সিআইটিএফ, মার্কিন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা এবং আরও অনেকেই। অন্য দেশের গোয়েন্দাদেরকেও সুযোগ দেয়া হয়, গুয়ান্তানামোতে বন্দিদেরকে নিজের দেশের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে। এমনকি কর্নেল গাদ্দাফির গোয়েন্দাদেরকেও সুযোগ দেয়া হয়েছিল এখানে বন্দিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। আটক অবস্থায়, রূপক বা বাস্তব, কোন ভাবেই মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে কোন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

Tuesday, January 17, 2012

পশ্চিমের বিরুদ্ধে চীনের সাংস্কৃতিক যুদ্ধ

চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও বলেছেন, চীন, পশ্চিমের সাংস্কৃতিক যুদ্ধের মুখোমুখি, তাই এর মোকাবেলায় চীন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করবে। নতুন বছরের শুরুতেই চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও এর এই বক্তব্যটি সংবাদ শিরোনাম হয়েছে। তিনি বলেছেন, চীন এবং পশ্চিমা বিশ্ব একটি সাংস্কৃতিক যুদ্ধে লিপ্ত, তাই চীনের জনগণ এই যুদ্ধের আক্রমণ ঠেকানোর জন্য, তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করবে। তার এই আহ্বান, চীনের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এক নতুন উদ্দীপনা হিসাবে কাজ করবে। কিন্তু উদারপন্থী বুদ্ধিজীবীগণ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বগণ তাদের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছে। এতে সাংস্কৃতিক ইন্ডাস্ট্রিগুলি অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার হিসাবে কাজ করবে। ঝু ডাকি, সাংহাই টংজি ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মন্তব্য করেছেন, সংস্কৃতিই হবে, চীনা অর্থনীতির শেষ আকর্ষণীয় উপাদান। সবাই অর্থনীতির ফল ভোগ করতে উদগ্রীব থাকে, বড় কোম্পানিগুলিও এর থেকে ফল ভোগ করতে চাইবে।

Monday, January 16, 2012

অপুষ্টি--ইন্ডিয়ার লজ্জা

ইন্ডিয়াতে অপুষ্টি এবং শিশু মৃত্যুর হার এশিয়াতে সর্বোচ্চ। ইন্ডিয়ার রাজধানী নয়াদিল্লী এবং আশেপাশে হাজার হাজার মানুষ বস্তিতে বসবাস করে। এই সমস্ত বস্তিবাসী শিশুরা চরম অপুষ্টিতে ভুগছে। তাদের পক্ষে দুইবেলা খাদ্য সংগ্রহ করা একটা বিলাসিতার ব্যাপার। এই সমস্ত বস্তির শিশুগুলিকে দেখলে বয়সের তুলনায় খুবই ছোট দেখায়। ক্ষুধার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করাই তাদের জীবন, আর অপুষ্টি তো তাদের কাছে একটি অপরিচিত শব্দ। অপুষ্টিতে ভোগা জনগোষ্ঠীর উপর সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্ট এই করুণ চিত্র তুলে ধরেছে। দারিদ্র, অপুষ্টি ইত্যাদি ইন্ডিয়ার জন্য একটি সুপরিচিত সত্য। প্রায় দুই দশক আগে পর্যন্ত ইন্ডিয়া বিশ্বের দরিদ্রতর দেশগুলির মধ্যে স্থান লাভকারী একটি অন্যতম রাষ্ট্র। কিন্তু বৈপরীত্যটা হচ্ছে, ইন্ডিয়া এখন ক্রমবর্ধমান দ্রুততম ডলার অর্জনকারী রাষ্ট্র। অন্যদিকে কোটি কোটি ইন্ডিয়ান এখনও চরমভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। ইন্ডিয়ান প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ অতি সাম্প্রতিক অপুষ্টির উপর একটি গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছেন। এই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে শতকরা ৪২ ভাগ ইন্ডিয়ান শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে, যা কিনা ইন্ডিয়ার চরম দারিদ্রকে প্রকটভাবে প্রকাশ করেছে। সর্ব বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ, আর দ্বিতীয় দ্রুতগতির ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশ ইন্ডিয়ার বৈপরীত্য, সমস্যা এবং সংকটকেই চরম সত্যরূপে প্রকাশ করে। এখানে গণতন্ত্র অপুষ্ট জনগণের দিকে তাকিয়ে বিদ্রূপ করে, আর অপুষ্ট জনগণ গণতন্ত্রের দিকে সকরুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। ইন্ডিয়া হচ্ছে বিশ্বের মধ্যে ২৫ বছরের কম বয়সী মানুষের সবচাইতে বৃহৎ দেশ। ইন্ডিয়ার অর্থনীতির গালভরা গল্প, এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর পুষ্টি-হীনতা ম্লান করে দেয়। সামরিক আর অ-উৎপাদনশীল খাতে ব্যয় হ্রাস না করেই, ইন্ডিয়ান সরকার খাদ্য নিরাপত্তা আইন নামে একটা আইন পাশ করেছে। কিন্তু এই আইন কোন সুরক্ষা দিবে বলে মনে হয়না। ইন্ডিয়ার কোটি কোটি মানুষকে অপুষ্টির হাত থেকে বাচাতে হলে, সামরিক খাতে ব্যয় কমাতে হবে। আর সামরিক খাতে ব্যয় কমাতে হলে, প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলতে হবে। বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান ইত্যাদি প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলতে হবে। প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্কই, ইন্ডিয়ার জনগণের অপুষ্টি দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

Friday, January 13, 2012

মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর ইন্ধন-শক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা-সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুর তাদের বিদ্যুৎ শক্তিকে অংশীদারির ভিত্তিতে ব্যাবহার করার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা যখন গত ৫ জানুয়ারি পুত্রজায়াতে বৈঠকে বসেন তখন মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরে তাদের বিদ্যুৎ বিক্রির প্রস্তাব দেয়। যদিও বেসরকারি ভাবেই এই বিদ্যুৎ মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে বিক্রির প্রস্তাব করা হয়েছে, তবুও সিঙ্গাপুর তা আমদানি করতে রাজি আছে, যদি শর্তগুলি সহজ হয়। সিঙ্গাপুর অবশ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিবেশের প্রভাবও বিবেচনা করে দেখবে। সিঙ্গাপুরের জন্য খুবই আশাব্যঞ্জক, যদিও এতে চ্যালেঞ্জ আছা: যদিও এতে পারস্পরিক উপকার আছে, তবুও এটাতে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। যদিও মালয়েশিয়া বিদ্যুৎ রফতানি করতে চাচ্ছে, কিন্তু তাদের নিজেদেরই বিদ্যুতের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। বর্তমানে মালয়েশিয়াতে গ্যাস ও কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন যথাক্রমে ৬০% এবং ২০%। উপরন্তু, গ্যাস উৎপাদন বর্তমান সময়ে বেশ কমে এসেছে। জলবিদ্যুৎ উৎপাদনও খুব বেশী সম্ভব নয়, ভূমি উন্নয়নের করনে। সেই ক্ষেত্রে জীবাশ্ম জ্বালানীর পরিবর্তে পারমাণবিক শক্তিই হবে কৌশলগত বিকল্প জ্বালানী। অন্যদিকে তেল এবং গ্যাস রফতানির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। অন্যদিকে ভূমি-স্বল্প সিঙ্গাপুরে বৃহদায়তনের নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট প্রযুক্তিগত বিরাট চ্যালেঞ্জ। সিঙ্গাপুরের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্যই বিদ্যুৎ শক্তির কার্যকারিতা এবং সংরক্ষণ নিবিড় প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্জন করা প্রয়োজন। বর্তমানে আমদানিকৃত গ্যাসের উপর সিঙ্গাপুরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নির্ভরশীল।

বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল নতুন অভিবাসন

ব্রাজিলের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলিয় শহর ব্রাজিলীয়তে, ওয়ার্ক পারমিটের জন্য দল বেধে মানুষ সপ্তাহের পর সপ্তাহ অপেক্ষা করে। সাধারণত ব্রাজিল, বলিভিয়া বা হাইতির লোকেরাই এখানে আসে কাজের সন্ধানে। কিন্তু এখন বাংলাদেশের এ.এস.এম সুলতান আহাম্মদ এবং আবদুল আউয়ালও কাজের সন্ধানে ওয়ার্ক পারমিটের আশায় এদের সাথে সামিল হয়েছে। ব্রাজিলে আসার কারণ: সুলতান আহাম্মদের ধারনা ব্রাজিলে অর্থনীতি ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছ, তাই এখানে কাজের কোন অভাব হবে না। তারা খুব শীঘ্রই ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে যাবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে খুবই খারাপ। মূল্য স্ফীতি এবং একই সাথে মুদ্রা স্ফীতি জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। বাংলাদেশের অনেকেই কাজের জন্য দক্ষিণ আমেরিকাতে আসার অপেক্ষায় আছে। সুলতান আহাম্মদ এবং আবদুল আউয়াল এর আগে কখনই ব্রাজিল আসে নাই এমনকি পর্তুগিজ ভাষাও জানে না। সুলতান আহাম্মদ একজন দক্ষ চিত্রকর। এর আগে সে গ্রীসে কাজ করেছে। আর আবদুল আউয়াল একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান। সে এর আগে মালয়েশিয়াতে কাজ করেছে। সুলতান আহাম্মদ দেশে রেখে এসেছে তার স্ত্রী এবং সাত বছর বয়সের এক কন্যা সন্তান। আর আবদুল আউয়াল তার স্ত্রী, এক কন্যা এবং দুই পুত্র। পরিবারের প্রয়োজনেই এই সুদূর প্রবাসে তারা এসেছে। দীর্ঘ বিপদসংকুল যাত্রা: বাংলাদেশ থেকে সুদূর ব্রাজিল। এত দীর্ঘ পথ তারা কি ভাবে পারি দিল? তারা ৯ হাজার ডলার দিয়েছে দালালকে এই কাজের জন্য। দালাল তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ইকুয়েডরে তাদেরকে উচ্চ বেতনের চাকরি যোগার করে দিবে। দালাল তাদেরকে প্রথমে ঢাকা থেকে দুবাই নিয়ে আসে। এতে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা বিমানে আসতে হয়। দুবাইয়ে ভাল কাজের সুযোগ না থাকায়, তারা ব্রাজিলকেই গন্তব্য হিসাবে বেছে নেয়। বিরামহীন ভাবে ১৫ ঘণ্টা ফ্লাইটে তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে সাও পাওলোতে আসে। যেহেতু তাদের ব্রাজিলের কোন ভিসা ছিল না তাই প্রথমে সাও পাওলোতে আসে। কিন্তু তাদেরকে এয়ারপোর্ট থেকে বার হতে অনুমতি দেয় হয়নি। তারপর তাদেরকে চিলির সান্তিয়াগোতে পাঠানো হয়। এখানেও প্রায় সোয়া তিন ঘণ্টার বিমান ভ্রমণ করতে হয়। পরে অন্য একটি ফ্লাইটে তাদেরকে সান্তিয়াগো থেকে ইকুয়েডরের কোয়েটোতে পাঠানো হয়। এতে তাদের প্রায় ৫ ঘণ্টার বিমান ভ্রমণ করতে হয়। কোয়েটোতে তার কয়েক দিন অবস্থান করে। কিন্তু ইকুয়েডরে তারা কোন কাজ যোগার করতে পরে নাই। তারপর তারা ঠিক করে ব্রাজিল যাবে। তাদের ধারনা, যেহেতু ব্রাজিল বিশ্বের মধ্যে ৬ষ্ট বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, তাই ব্রাজিলেই তারা কাজের সন্ধান পাবে। কিন্তু সমস্যা হল তাদের তো ব্রাজিলের ভিসা নেই তারা কি ভাবে ব্রাজিলে প্রবেশ করবে। তাদের দালাল তাদের বাধ্য করে আরও ৫,৪০০ ডলার দিতে। যা কিনা একজন মধ্যস্থতাকারীকে দেয়া হবে। এই মধ্যস্থতাকারী তাদের আশ্বাস দেয়, যদিও কাজটা খুব কঠিন, তবুও তারা যেন বিচলিত না হয়। সীমান্ত অতিক্রম: তারা ইকোয়োডরের কোয়োট থেকে ২৬ ঘণ্টায় পাবলিক বাসে করে, পেরুর লিমাতে আসে। তারপর বাস পরিবর্তন করে আরও ১২ ঘণ্টা দুর্গম পাহাড়ি পথে ব্রাজিলের নিকটবর্তী সীমান্ত শহর পেরুর ইনাপারি শহরে আসে। এখানে এসেও তারা ব্রাজিলের ভিসা পায়নি। এইবার দালাল আরও ৬ শত ডলার দাবি করে বসল। তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হল, বলিভিয়া সীমান্তের দিকে। তার পর জঙ্গলের ভিতর দিয়ে কয়েক কিলোমিটার অতিক্রম করে ব্রাজিলে প্রবেশ করানো হল। ব্রাজিলে পৌছার পর তাদের কাছে অবশিষ্ট রইল মাত্র ৩ শত ডলার। আর ডলার না থাকায় দালাল সুলতান আহাম্মদের মোবাইল ফোনটি নিয়ে নিলো। ২১ দিনের দীর্ঘ ভ্রমণে ক্লান্ত সুলতান আহাম্মদ এবং আবদুল আউয়াল এখন ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়াতে অপেক্ষা করছে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য। তাদের কাছে এখন আছে মাত্র ২০ ডলার। বাড়ীতে যে ফোন করবে, সেই মোবাইল ফোনটিও তাদের সাথে নেই। এতো কষ্টের মধ্যেও তারা কিছু স্ন্যাক আর কিছু পানি কিনেছে তাদের ব্রাজিল আগমনকে উদযাপনের জন্য। এইগুলি কেনার পর এখন তাদের হাতে আছে মাত্র ১০ ডলার। তারা তাদের পাসপোর্ট স্থানীয় ফেডারেল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য। কিন্তু ওয়ার্ক পারমিট পেতে তাদেরকে কম পক্ষে ৪ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। ভিন্ন সংস্কৃতি: তারা বুঝতে পারছেনা কি ভাবে ব্রাজিলিয়ানদের সাথে ভাব বিনিময় করবে। এক ব্রাজিলিয়ান তাদের কে জিজ্ঞাস করল, তারা কোথা থেকে এসেছে। বাংলাদেশ শুনে, একজন বলল, ওহ বুঝেছি। বাংলাদেশ ইন্ডিয়ার রাজধানী। সুলতান আহাম্মদ বাংলাদেশকে চিনানোর জন্য বলল, বাংলাদেশ, ইনডিয়া, পাকিস্তান। নতুন প্রবণতা: এটি একটি নতুন প্রবণতা। পূর্ব থেকে পশ্চিম এবং দক্ষিণ থেকে দক্ষিণে অভিবাসনের নতুন প্রবণতা। বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল। বাংলাদেশিদের জন্য নতুন জায়গা। এখন তারা নিজেদেরকে নিজেদেরই রক্ষা করতে হবে। তাদেরকে সাহায্য করার জন্য কেউ নেই। একসময় অনেক বাংলাদেশি বাস করবে ব্রাজিলে। তখন একটা সমাজ গড়ে উঠবে। যেমন, হাইতিয়ানরা এখনে সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করছে।

Friday, December 30, 2011

বাংলাদেশের রাজনীতি

রাজার নীতি। জনগণের নীতি নয়। যেহেতু বাংলাদেশ একটি প্রজাতন্ত্র, তাই জনগণ প্রজা। যেহেতু জনগণ প্রজা, তাই শাসক শ্রণী রাজা। রাজা আর প্রজা। 

তাই এই রাজনীতিতে প্রজাদের কি ভূমিকা? 
প্রজাদের কোন ভূমিকা নাই। 

তা হলে ভূমিকা কার?
ভূমিকা হলো--

প্রথমতঃ বিদেশী প্রভুদের।
দ্বিতীয়তঃ Military Bureaucrat 
তৃতীয়তঃ Civil Bureaucrat 
চতুর্থতঃ এন.জি.ও
পঞ্চমতঃ রাজনীতিক দলের নেতাদের (ভুল বুঝার কারণ নেই, এখানে প্রজাদের কোন ভূমিকা নাই।)